Monday , December 23 2024
Breaking News

আওয়ামী লীগ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, আওয়ামী লীগ সরকার তা নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক স্তম্ভ’ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এমন মন্তব্য করেন। এর আগে বেলা ১১টার পর ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ নামে এই স্তম্ভের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড রুম ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রদর্শন করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সুপ্রিম কোর্টে জাতির পিতা ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তথ্যচিত্র।

অনুষ্ঠানে দেশে আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আইন পেশায় বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখানে আইনমন্ত্রী আছেন, আমি বলব, এ বিষয়ে দ্রুত কাজ করা দরকার। এটি আমরা করে দেব। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে এসেছে। সেজন্য তারা (আইন পেশার মানুষ) যেন দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, বিশ্বমানের সেবা দিতে পারে সেজন্য আমরা আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব, কথা দিচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আইনজীবী ভবনও করে দিতে পারব, কিন্তু এখনই নয়। তবে আবার সরকারে এলে এটি করে দেব। এ মুহূর্তে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হচ্ছি, মিতব্যয়ী হচ্ছি। তারপরও মানুষের চাহিদা পূরণ করছি।

স্মারকসৌধ উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বহুবার এসেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থানে এবারও প্রথম এলাম। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আপনারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ স্মারক স্তম্ভ করেছেন। আজকে আমাকে এখানে আমন্ত্রণ করেছেন। পরবর্তী প্রজন্ম এ থেকে তার (বঙ্গবন্ধু) ইতিহাস জানবে।

স্বাধীনতার পর সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধনের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই স্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারকসৌধ।

স্মারকসৌধে ১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর সংবিধানে স্বাক্ষররত জাতির পিতার ছবি এবং ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে বক্তৃতার ছবি ম্যুর‍াল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৬৯ জন আইনজীবীর নামের তালিকাও এতে রয়েছে। এছাড়া সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং সংবিধানের ৯৪ এবং ৯৫ অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সাবেক বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

SHARE

About bnews24

Check Also

২১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ যাবেন

১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ যাবেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *