আগামী বছরের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করা যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন সিদ্দিক বলেছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আজ আপনাদের সবাইকে তিনি মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেলের উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমআরটি চালু হলে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এমআরটি লাইন-৬ চালুর মাধ্যমে যাতায়াত খরচ বাবদ প্রতিদিন আট কোটি ৩৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। সঙ্গে যান চলাচল খরচ বাবদ সোয়া কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে।
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কমলাপুর অংশের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। জুন ২০২৫ সালে এই অংশ চালু করা হবে বলে আমরা আশা করি। এছাড়া আরও তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, আশা করছি ২০৩০ সালে ঢাকা মহানগরীতে মেট্রোরেলের একটা মাকড়শার জাল তৈরি করা সম্ভব হবে, যার মাধ্যমে রাজধানীর প্রধান প্রধান যেকোনো অংশ থেকে যাতায়াত করা যাবে।
এমএএন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের একটা মূল অনুষঙ্গ হচ্ছে ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলভমেন্ট (টিওডি)। প্রধানমন্ত্রী আমাদের উত্তরা উত্তর সেন্ট্রাল স্টেশনের পাশে ২৮ দশমিক ৬১ একর জায়গা সংস্থান করে দিয়েছেন। এখানে টিওডি নির্মাণের জন্য নকশা তৈরি করে দিয়েছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন প্রত্যেকটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইনে যেন আমরা স্টেশন প্লাজা করি। এমআরটি লাইন-৬-এ চারটি স্টেশন প্লাজা নির্মাণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন।’
তিনি বলেন, মেট্রোরেল যখন চলাচল করবে তখন রাজধানীতে ক্রমান্বয়ে ছোট ছোট গাড়ি কমে যাবে। এতে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে আমাদের যে পরিবেশ দূষণ হচ্ছিল, তা থেকে পরিত্রাণ পাব।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।