ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আগ্রাসনকারী রুশ সেনারা আরও ভেতরে প্রবেশ করলে নিজেদের সার্ভার ও স্পর্শকাতর তথ্য বিদেশে পাঠাতে হবে। ইতোমধ্যে এর জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ইউক্রেন সরকার।
বুধবার(৮ মার্চ) দেশটির এক সিনিয়র সাইবারসিকিউরিটি কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স সূত্রে এসব জানা গেছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপপ্রধান ভিক্টর ঝোরা জানান, তার দফতর যেকোনও আকস্মিক ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর সবকিছুই নির্ভর করছে রুশ আগ্রাসনের কারণে সরকারের স্পর্শকাতর নথি কতটা ঝুঁকির মুখে পড়ছে তার ওপর।
ভিক্টর ঝোরা বলেন, আমরা মাঠ প্রস্তত করছি। প্লান এ হচ্ছে ইউক্রেনের অভ্যন্তরেই আইটি অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখা। আর এগুলো অন্য কোনও দেশে সরিয়ে নেওয়া ‘প্লান বি বা সি হতে’ পারে জানান তিনি। ঝোরা জানান, সরিয়ে নেওয়া কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন ইউক্রেনীয় আইনপ্রণেতারা রেগুলেটরি পরিবর্তন অনুমোদন করবেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আইটি সরঞ্জাম এবং ব্যাকআপ রুশ বাহিনীর নাগালের বাইরে নিতে সেগুলো আরও সুরক্ষিত এলাকায় সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
ইউক্রেন ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকেই তথ্য রাখার সম্মতি পেয়েছে। তবে সেসব দেশের পরিচয় প্রকাশ করেননি ভিক্টর ঝোরা। তবে তিনি জানান, এক্ষেত্রে কোনও ইউরোপীয় স্থানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
গত মাসে ভিক্টর ঝোরা জানান, ঝুঁকির মুখে পড়লে স্পর্শকাতর তথ্য রাজধানী কিয়েভের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে