Monday , December 23 2024
Breaking News

ইসলামের নাম নিয়ে ক্ষমতায় এলেও ধর্ম প্রচার-প্রসারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী

রোববার (৩০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। আমি ১০ তলা ভবন নির্মাণ করে দেই। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দেই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশের মডেল মসজিদগুলোকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। কারণ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এই মসজিদগুলো পরিচালিত হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এসব মসজিদের ক্ষতি করতে না পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশ গড়েছেন, অন্যদিকে ইসলাম প্রচারের জন্য টঙ্গীতে ইজতেমার জায়গা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্মাণ করেছেন। কাকরাইলে মসজিদের জায়গা দিয়েছিলেন, অল্প খরচে বাংলাদেশের মানুষকে হজে পাঠানোর জন্য জাহাজের ব্যবস্থা করেছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাদরাসা বোর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে জাতির পিতার আমলেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু ইসলামের জন্য তারা কিছু করেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদকে উন্নত করার কাজ শুরু করলাম। সেখানে আমাদের মহিলাদের নামাজের সু-ব্যবস্থা, ওযুখানা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিং করছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা যে পর্যন্ত কাজ করেছিলাম, সে পর্যন্তই পড়ে থাকে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। আল্লাহর রহমতে ৮ বছর পর আমরা যখন আবার সরকারে আসি, তখন বায়তুল মোকাররম মসজিদ আমরা আবারও পুনর্নির্মাণ করে উদ্বোধন করি। কাজেই কোনো সরকার এসে যেন আমাদের এই মসজিদগুলো নষ্ট করতে না পারে। তাই এগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে থাকবে। যেন আবারও সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে কেউ হাত দিতে না পারে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘শুধু বায়তুল মোকাররম না, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সবচেয়ে বড় একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম। খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল, ‘এতোবড় মসজিদে কে যাবে নামাজ পড়তে’। সেটার কাজও তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি মিনারগুলোও তৈরি করতে দেয়নি। আমি দ্বিতীয়বার সরকারে এসে সেই মসজিদটি নির্মাণ করি। তারা ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে। কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না। আর তাদের চরিত্র তো আপনারা জানেন। তারা সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসী। গতকালও আপনারা দেখেছেন, কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। এর আগেও তারা জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মেরেছে। ২০১৪ সালে তারা বাড়ি, স্কুল-কলেজ, বাস-ট্রেন, অফিস কোনো কিছুই বাদ রাখেনি, সব পুড়িয়েছে। গতকাল (শনিবার) আবারও তাদের সেই অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা দেখলাম।’

পঞ্চম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতালা উপজেলা মডেল মসজিদ প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

SHARE

About bnews24

Check Also

২১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ যাবেন

১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ যাবেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *