Monday , December 23 2024
Breaking News

ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব

ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব রয়েছে ব্যাপক। হালাল শব্দটি আরবি শব্দ, আভিধানিক অর্থ বৈধ, পবিত্র প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থ- যা শরিয়ত কর্তৃক অনুমোদিত বা বৈধ তাকে হালাল বলে। ইসলামী শরিয়ত কর্তৃক অনুমোদিত পন্থায় আয়-রোজগার করাকে হালাল উপার্জন বলে।

হালাল উপার্জনের গুরুত্ব দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে মানবমণ্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু সামগ্রী ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সূরা বাকারা-১৬৮) এখান থেকে বোঝা যায়, হালাল খাদ্য ভক্ষণ, উপার্জন সবই ফরজ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ আরো বলেন- ‘অতঃপর যখন সালাত সমাপ্ত হয় তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) অন্বেষণ করো।’ (সূরা জুমুআহ-১০) এখানে অন্বেষণ বলতে হালাল রুজি অন্বেষণের কথা বলা হয়েছে।

মহানবী সা: বলেন, ‘হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা ফরজের পর আরেকটি ফরজ’। (বাইহাকি-১১৪৭৫) তিনি আরো বলেন, ‘হে লোক সকল! আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম-২৩৯৩)

হালাল উপার্জন করতে হলে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়। অবৈধ উপায়ে উপার্জনে তেমন কষ্ট করতে হয় না; কিন্তু হালাল উপার্জনের জন্য সময়, শ্রম, মেধা ব্যয় করতে হয়। এতে মানুষের কর্মবিমুখতা দূর হয়। বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা ফজরের সালাত আদায় হয়ে গেলে জীবিকা অনুসন্ধান না করে ঘুমিয়ে পড়বে না।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত উমর (রা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন জীবিকার্জনের চেষ্টায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বসে না থাকে। পৃথিবীতে যত নবী-রাসূল এসেছেন, তারা সবাই নিজ হাতে হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। তাই হালাল উপার্জন সব নবী-রাসূলের সার্বজনীন সুন্নাত।

হালাল উপার্জন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হালাল ছাড়া অন্য উপায়ে অবৈধভাবে উপার্জনের সম্পদ দ্বারা যে শরীর বা প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তা জাহান্নামের ইন্ধন হবে। তা দিয়ে নিজের দুনিয়ার জীবন ধ্বংস হবে, পরিবার-পরিজনের জীবন নষ্ট হবে- আখিরাতে শাস্তি হবে

SHARE

About bnews24

Check Also

২০২৫ সালের জন্য হজের দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে

২০২৫ সালের জন্য হজের দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ‌ক সংবাদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *