পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে পাকিস্তান ও ইরানের সম্পর্ক উত্তেজনার চরম শিখরে পৌঁছায়। কয়েক দিন ধরে চলে সামরিক মহড়া ও উচ্চবাচ্য। তবে এসব দূরে সরিয়ে রেখে এবার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছে তেহরান ও ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্যকার যাবতীয় সব সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে দুপক্ষ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের কার্যালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
গত মঙ্গলবার ইরান পাকিস্তানে হামলা চালালে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। ইরানের হামলার জবাবে দুদিন পর পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালালে এই উত্তেজনা আরও বাড়ে। পাল্টাপাল্টি হামলার প্রতিবাদে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার আলোচনা শেষে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতই এখন স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার ইরান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ফোনালাপের তেহরানের সঙ্গে সব ধরনের ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে সব বিষয়ে কাজ করার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করেছেন। দু দেশের বিরাজমান উত্তেজনা কমাতেও সম্মত হয়েছেন দুজন। দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিজ নিজ রাজধানীতে ফেরা নিয়েও আলোচনা হয়েছে
গাজা যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার ইরান পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলে দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে ইরানের অন্তত ৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ইরান হামলা করলে পাকিস্তানের দুই শিশু নিহত এবং তিনজন আহত হয়। ইরানের এই হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার দেশটিতে পাল্টা হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ইরানের সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পাকিস্তানে হামলার বিষয়েও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছিল তেহরান।ইসলামাবাদ। ইরানের সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে এমন হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পাকিস্তানে হামলার বিষয়েও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছিল তেহরান।