সংসদে এখন ৬৪৮জন এমপি রয়েছেন। এ নিয়ে চলছে নানান সমালোচনা। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু এখন সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। এ ব্যাপারে এবার কথা বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আপনি আইনমন্ত্রী হিসেবে স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না এমন প্রশ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।’
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।’
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশের অনেক কর্মসংস্থান আছে। সেখানে আমাদের শ্রমিকরা যাচ্ছেন। সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উন্মুখ। পারস্পরিকভাবে তাদের (সৌদি) বিনিয়োগ কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে একটি চুক্তি সই করার জন্য আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সেই চুক্তি সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। সৌদি আরবের বিচার মন্ত্রণালয়ে সেটি আছে। সেই চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আজ আলোচনা হয়েছে।’
চুক্তিতে কী থাকছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশের অনেক কর্মসংস্থান আছে। সেখানে আমাদের শ্রমিকরা যাচ্ছেন। সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উন্মুখ। সেই সব বিষয়ে তাদের সুবিধার জন্য চুক্তিটি করা হবে। পারস্পরিকভাবে তাদের (সৌদি) বিনিয়োগ কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়েই এ চুক্তি হবে।’
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বের সম্পর্ক গভীর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্পর্ককে আমরা আরও গভীর করতে চাই।’
তিনি বলেছেন, ‘সারা মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের বোন হিসেবে মনে করেন। তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।’