রাজধানীর বারিধারা ও মোহাম্মদপুরের বাসায় গত রোববার পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ আলোচিত দুই মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাক ও মৌ আক্তারকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী।
আটকের পর বেরিয়ে আসছে তাদের একের পর এক অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের বিষয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।
শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ওরা কিসের মডেল! কিসের অভিনয়শিল্পী। এত বছরের অভিনয়জীবন, কারও নামই তো শুনলাম না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ কাউকে মডেল ও অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রচারের আগে অবশ্যই খতিয়ে দেখবেন। সমাজে এই ধরনের অপকর্মের কারণে সেনসেশন তৈরি হয়। দেশ–বিদেশের মানুষের কাছে সত্যিকারের শিল্পী ও মডেল সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি হয়।
শহীদুজ্জামান সেলিম আরও বলেন, ‘এদের আমরা একদমই চিনি না। এরা কী কাজ করেছে, কখনো সেটাও জানি না। এখানে আমাদের একটা বক্তব্য, সব শিল্পীই শিল্পী নয়, সব মডেলই মডেল নয়।
‘একটা প্রবণতা আমরা ইদানিং দেখছি, একটা ছেলে বা মেয়ে কোথাও অপরাধ করে নিজেদের মডেল বা অভিনয়শিল্পী দাবি করছে। যারা গ্রেফতার করেন, তারাও মনে হয়, এসব পরিচয়ে গ্রেপ্তার করতে পুলকিত হন। মডেল অমুক ধরা পড়েছে, সংবাদমাধ্যমেও সেভাবে লেখা হয়। এভাবে লেখা বা প্রচারের কারণে সত্যিকারের শিল্পীরা বিব্রত হন। সমাজের মানুষের কাছে তাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। অসম্মান করা হয়
তিনি বলেন, তার পরিচয় কী? মডেল। সে কি মডেলিং করেছে, কেউ কিন্তু জানি না। তার পরিচয় অভিনয়শিল্পী, কিন্তু সে কিসে অভিনয় করেছে, কেউ বলতে পারবে না। একজন মানুষকে হুটহাট অভিনয়শিল্পী বা মডেল বলাটা সত্যিকারের শিল্পী ও মডেলদের অপমান।
অন্যদিকে প্রশ্ন রেখে শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, নিজেদের মডেল ও অভিনয়শিল্পী দাবি করলেই তো আর মডেল অভিনয়শিল্পী হওয়া যায় না। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর যাদের নামের আগে মডেলও অভিনয়শিল্পী বলা হচ্ছে তারা তো আসলে এ জগতের কেউ না। তারা কোথাকার মডেল, কোথায় অভিনয় করেছে? আমরা শোবিজের কেউ তো তাদের অভিনেতা-মডেল হিসেবে চিনি না। কিভাবে মডেল ও অভিনয়শিল্পী হোন তারা?’