পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারাগারে সন্ত্রাসীদের জন্য সংরক্ষিত সেলে রাখা হয়েছে। ইমরানের আইনজীবী নিয়াম হায়দার পানজোথার পক্ষ থেকে সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে করা এক আবেদনে এমন দাবি করা হয়।
ইসলামাবাদের একটি আদালত রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচাসংক্রান্ত (তোশাখানা) দুর্নীতি মামলায় গত শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। সাজা ঘোষণার পর এদিনই ইমরানকে তার লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তাকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে পাঠানো হয়। অ্যাটক কারাগারটির কুখ্যাতি রয়েছে। এখানে থাকা বন্দীদের মধ্যে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া জঙ্গিও আছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধানের আইনজীবী নিয়াম
অ্যাটক কারাগারে ইমরানকে রাখার বিষয়টিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণার পাশাপাশি তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আরজি জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদনটি করেছেন।
একই আবেদনে ইমরানকে কারাগারে প্রথম (এ) শ্রেণির সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আরজি রয়েছে। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ৯৯ বর্গফুটের একটি কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তার সেলের সঙ্গে সংযুক্ত শৌচাগারটি নোংরা। সেলটি নোংরা। সেলটি সাধারণত সন্ত্রাসীদের জন্য সংরক্ষিত।
১৯০৫ থেকে ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সরকার অ্যাটক কারাগারটি নির্মাণ করে। এটি ৬৭ একর জমির ওপর নির্মিত। আবেদনে বলা হয়, বিদ্বেষ ও সরকারি চাপের কারণে কারাগারে ইমরানের সঙ্গে একজন গুরুতর অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে।
সোমবার বিকালে ইমরানের সঙ্গে তার আইনজীবী নিয়ামকে কারাগারে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কারাগারে দুজনের মধ্যে ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট কথা হয়। এই সাক্ষাতের পর আইনজীবী নিয়াম বলেন, এত কিছুর পরও তার মনোবল সুদৃঢ় রয়েছে।