ইসরায়েলি হামলায় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে গাজার মানবিক সংকট। সেনাবাহিনীর একের পর এক হামলায় গৃহহারা হচ্ছে মানুষ। এমনকি সেনাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে এখন আর কোনো হাসপাতাল কার্যকর নেই। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো হাসপাতাল আর কার্যকর নেই। জ্বালানি, স্টাফ ও সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, পুরো গাজায় ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৯টি আংশিক কার্যকর ছিল। যেগুলো কার্যকর ছিল এগুলোর সবটা দক্ষিণ গাজায় রয়েছে।
জেরুজালেম থেকে এক ভিডিওবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রকৃতপক্ষে কোনো হাসপাতাল পরিষেবায় নেই।
তিনি বলেন, বর্তমানে আল আহলি হাসপাতালে কোনো রকমে চলমান রয়েছে। সেখানে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন করে কোনো ধরনের রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, মেডিকেল সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যকর্মীসহ নানা সংকট রয়েছে। ফলে সেখানে কোনো হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রমও করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মৃতদেহ হাসপাতালের আঙিনায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছিল। কেননা নিরাপদভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় সেগুলো দাফন করার মতো পরিবেশও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।