সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন এমএ লতিফ প্রধান ও দেলোয়ার হোসেন।
গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন।
পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রশ্নপত্র ফাঁস, অব্যবস্থাপনা ও উত্তরপত্র জালিয়াতির অভিযোগ প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ১২ ডিসেম্বর রিট করা হয়। বরিশাল বিভাগের পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সাথী রিট আবেদনটি করেন।
রিট করার আট দিন পর ২০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হন।