Friday , April 11 2025
Breaking News

খতমে তারাবি সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে পড়ার আহ্বান

পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।

এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিনগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।

এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বুধবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে বুধবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সাহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

অন্যদিকে বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার। এ ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সাহরি।

SHARE

About bnews24

Check Also

রমজান মাসের রোজাদারের জন্য আছে কিছু শিষ্টাচার

প্রতিটি বিষয়ের একটি শিষ্টাচার আছে। রোজাদারের জন্য আছে কিছু শিষ্টাচার, যা তার রোজা পালন ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *