টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেগা টুর্নামেন্ট আইপিএলের প্রবর্তক ভারত। বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্রিকেটারদের নিয়ে হয়ে আসা আইপিএল ভারতীয় তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটের আবেদনই পাল্টে দিয়েছে। অথচ সেই ভারতই ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো শিরোপা জিততে পারেনি। বলে রাখা ভালো, ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় আইপিএল।
এবারের আগে ২০১৪ সালে শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বিরাট কোহলিদের। এরপর আরো দুইবার কাছ থেকে ফিরতে হয়েছিল। ঘরের মাঠে ২০১৬ এবং অস্ট্রেলিয়ায় গত বিশ্বকাপে সেরা চার থেকে ভারতের দৌড় থামে।
শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর অনেকবারের চেষ্টায়ও শিরোপাখরা কাটেনি ভারতের। বারবারই সেমি নয়তো ফাইনালে হারের প্লাবন ভাসিয়ে নিয়েছে তাদের। সর্বশেষটির যন্ত্রণা তো এখনো টাটকা রোহিত শর্মার দলের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ঘরের মাঠে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা হয়নি।
সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ এখন রোহিতদের সামনে। ১২ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে বার্বাডোজে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে আরেকটি ফাইনালে মাঠে নামছে ভারত। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রোটিয়ারা এবারই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। একদিকে ইতিহাস ডাকছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে, আরেক দিকে বৈশ্বিক আসরে শিরোপাখরা কাটানোর সামনে ভারত।
মঞ্চ প্রস্তুত রাহুল দ্রাবিড়ের জন্যও। ভারতের কোচ হিসেবে এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ। ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—এ নিয়ে তাঁর অধীনে তৃতীয় ফাইনাল খেলছে ভারত। তাই রব উঠেছে ‘ডু ইট ফর দ্রাবিড়’। দ্রাবিড় অবশ্য এসব ব্যাপারে বরাবরের মতো নির্মোহ, “আমি এই ধরনের জিনিসে বিশ্বাসী না। আমি বরং এটা শুনতে ভালোবাসি, একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছে, ‘কেন তুমি মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে চাও?’ সে বলছে, ‘আমি মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে চাই, কারণ এটা সেখানে আছে।’ আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই, কারণ এটা আছে। এটা কারো জন্য না। এটা শুধু জেতার জন্য আছে। আমি শুধু ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।”
ভালো ক্রিকেট খেলেই ফাইনালে উঠেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো টুর্নামেন্টে তারা এখনো অপরাজিত। ভারতের দুর্বলতা বলতে বিরাট কোহলির ছন্দহীনতা। অধিনায়ক-কোচ দুজনেরই আশা, সেরা খেলাটা ফাইনালেই খেলবেন কোহলি।