ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভাসমান হাসপাতাল এবং বিমানে করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপের কোনো দেশ গাজায় ভাসমান হাসপাতাল পাঠাচ্ছে। গাজাবাসীকে সহায়তার জন্য উপত্যকাটিতে ভাসমান হাসপাতাল পাঠিয়েছিল ইতালি। এবার ফ্রান্সও তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ বিমান এবং ভাসমান হাসপাতাল পাঠানো হবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, অবরুদ্ধ গাজায় বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ১০ টনেরও বেশি চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী বিমান পাঠাবে ফ্রান্স। এরপর আগামী ৩০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হবে।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, ৪০ শয্যাবিশিষ্ট ফ্রেঞ্চ নৌবাহিনীর বিমানবহনকারী জাহাজ ডিক্সমুড কয়েকদিনের মধ্যেই মিশরে পৌঁছাবে। এছাড়াও গাজা থেকে অসুস্থ বা আহত শিশুদের সরিয়ে নেয়ার জন্য ফ্রান্সের বেসামরিক ও সামরিক বিমান ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, ‘৫০টি ফিলিস্তিনি শিশুকে ফ্রান্সের হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়ার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এ অভিযানে যোগ দিয়েছে স্থল বাহিনীও।
হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ হাজারে।