সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হানলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল ও খুলনার উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
মঙ্গলবার (৯ মে) কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা (সম্ভাব্য) অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে পূর্ব বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত করতে যাচ্ছে।
এই গবেষক জানান, এই গতিবেগ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলের উপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় এই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সাত থেকে ১০ ফুট এবং খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো পাঁচ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
অপরদিকে ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারই নিম্নচাপটি পরিণত হতে চলেছে গভীর নিম্নচাপে। এরপর বুধবার তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর এগিয়ে যাবে।
মোখা নিয়ে ভারতের চার রাজ্যে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নামও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মোখা ভারতে খুব বেশি আঘাত না করে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। যদি এর দিক এখনও নিশ্চিত নয়।