আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় তখন, যখন এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ অংশগ্রহণ করে। আমি একটা পার্থক্য ও জলজ্যান্ত প্রমাণ দেখায়, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি যে নির্বাচন দিয়েছিল তখন কিন্তু সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। সে কারণে ৩০ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। কিন্ত আজকে আপনারা দেখেছেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে কেমন উল্লসিত। এই নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার অংগ্যজাই মারমার কাছে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় তার প্রস্তাবকারী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, সমর্থনকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও শনাক্তকারী হিসেবে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী আখাউড়া রেলস্টেশন চত্বরে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। দোয়া-মাহফিলে আইনমন্ত্রী সবার কাছে দোয়া চান এবং এ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী। এর আগেও তিনি এ আসন থেকে পর পর দুইবার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হন।