সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৫২ জন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মারা গেছেন ১ জন। এর আগের দিন সোমবার ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক হাজার ৮৩ জন।
এই নিয়ে চলতি মাসের ১৯ দিনে ডেঙ্গুতে মোট ১০৭ জনের মৃত্যু এবং ২০ হাজার ৩০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সব মিলিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২২ জনে এবং মোট আক্রান্ত হলো ৮২ হাজার ১২০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, অক্টোবর মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ১৩৪ জনের। আর সেপ্টেম্বর মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৮ হাজার ৯৭ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ৮০ জনের। আর তার আগের মাস আগস্টে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৫২১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলায় হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৯৯৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি এক হাজার ৬২০ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ২ হাজার ৩৭৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৪২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৫১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৫ জন , রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন , রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৬৭ জন। এছাড়া এ বছরে ডেঙ্গুতে মোট ৭৭ হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের এবং জুলাই মাসে ২৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১২ জনের।