ঢাকা টেস্টে স্পিনারদের দাপটে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। টাইগারদের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই তুলে নেন কিউই স্পিনাররা। তবে স্বাগতিকদের স্বল্প রানে অলআউট করলেও স্বস্তিতে নেই ব্ল্যাক ক্যাপসরা। টাইগার স্পিনারদের দাপটে ৫৫ রান তুলতেই হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট। যথারীতি নিউজিল্যান্ডের পতন হওয়া উইকেটগুলোও তুলে নিয়েছে স্পিনাররা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এখনও প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে আছে কিউইরা।
মিরপুরে প্রথম দিনে ৭৯ ওভারে খেলা শেষে দুই দল হারিয়েছে ১৫ উইকেট। শরীফুল ইসলাম শুধু প্রথম ওভারেই বোলিং করেন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ষষ্ঠ ও সপ্তম ওভারে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও টম লাথামকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তারপর আরও একটি। কেইন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে বড় আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। মিরাজ ১৭ রান খরচায় তিন উইকেট, তাইজুলের ঝুলিতে আছে বাকি দুটি। কিউইদের হয়ে ড্যারিল মিচেল ১২ ও গ্লেন ফিলিপস ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে শেরে বাংলায় সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১তম ওভারে দলীয় ২৯ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান। মাত্র ৮ রান সংগ্রহ করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরের ওভারে মাহমুদুল হাসান জয় ১৪ রানে আউট হন। ২৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪১ ও ৪৭ রানের মাথায় অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মমিনুলের উইকেট হারায় টাইগাররা। এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার প্রথম চারটি উইকেট ভাগ করে নেন।
পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে জেমিসনের বলে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। কিছুক্ষণের মধ্যে ১০২ বলে ৩১ রানে ফিলিপসের শিকার হন শাহাদাত। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী মিরাজরা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। এ ছাড়া এজাজ প্যাটেল দুটি এবং টিম সাউদি একটি উইকেট নেন।