স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পৃথিবীর অন্যতম সেরা একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিণত করা হবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গ্যালারি-১ এ আয়োজিত ইমার্জেন্সি মেডিসিন-সিপিইএম-এ সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন করে এই হাসপাতালে ৫ হাজার আধুনিক শয্যা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। এখানে অত্যাধুনিক ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড চালু করাসহ উন্নত পরীক্ষা ব্যবস্থাসহ সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। একই সাথে দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, ডায়ালাইসিস সুবিধাসহ অতি উন্নত মানের হাসপাতাল নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী চান চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঢাকার ওপর চাপ কমিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিসেন্ট্রালাইজড করতে। এর সাথে আরেকটি খুশীর কথা হলো, আজ একনেক মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী মাত্র ৫ মিনিটে দেশের ৮ বিভাগেই বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসা ব্যবস্থা করার কাজের অনুমোদন করে দিয়েছেন। একই সাথে দেশের গোটা স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করার কাজটিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সময়ে দেশের মানুষ উন্নত ও ঢাকার মানের একই রকম চিকিৎসা সুবিধা নিজ নিজ এলাকা থেকেই লাভ করবে।
করোনায় অনেক ক্ষতির মাঝেও দেশের মানুষের স্বাস্থ্যখাতের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিপাত, নিজের শরীরের প্রতি ভাবনা ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাসহ সমগ্র চিকিৎসাখাত এর উন্নয়ন নিয়ে যেভাবে নিরলস কাজ হয়েছে তাকে প্রণিধানযোগ্য বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশের আইসিইউ ব্যবস্থা, অক্সিজেন উৎপাদন ব্যবস্থা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানারকম ভালো উদ্যোগ এই করোনার সময়েই নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
দেশের স্বাস্থ্যখাত এই মহামারিকে যেভাবে মোকাবেলা করেছে তাকে পৃথিবীর কাছে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি করোনা মোকাবেলা করতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে সেসময় বাংলাদেশ করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মি. আর্ল আর মিলার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হাসানসহ উপস্থিত অন্যান্য চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।