তুরস্কে কৃষ্ণসাগর উপকূল সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্যায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে আটকা পড়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ও নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে।
বন্যায় দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ কাস্তামোনুত। যেখানে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপকূল সংলগ্ন সিনোপে মারা গেছে আরও দুইজন।
টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় বেশকিছু ভবন ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভাঙাচোরা গাড়ির কারণে একাধিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে; অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি।
চলতি মাসে তুরস্ককে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে দেখা দেওয়া ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে।
মারমারিস ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা ও পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য করা ওই আগুনগুলো এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তুরস্কের এ দফার দাবানলে ৮ জনের প্রাণ গেছে, পুড়ে গেছে এক লাখেরও বেশি হেক্টর জমির গাছপালা।
সাম্প্রতিক দুর্যোগগুলো মোকাবেলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে তুরস্কজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান কাস্তামোনু সফর করেছেন এবং বন্যায় মৃত কয়েকজনের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন।
তিনি হতাহতদের পরিবারকে সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকার এক হাজার ৭০০-র বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ২০০ গ্রাম এখনো অন্ধাকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে।
গ্রীষ্মকালে তুরস্কের কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকাগুলোতে প্রায়ই বন্যা দেখা যায়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলিমান সোয়লু অবশ্য বৃহস্পতিবার বন্যাক্রান্ত এলাকা সফর করতে গিয়ে ‘জীবদ্দশায় এরকম দুর্যোগ আর দেখিনি’ বলে মন্তব্য করেছেন।