চীনের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের আতঙ্ক প্রকট আকার ধারণ করছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি শহর দেগু এবং চোংডোর একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এর জন্য পাশাপাশি ওই দুটি শহরে বসবাসরত শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে দায়ী করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দেগু এবং চোংডোতে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর কয়েকশ সদস্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের কথা জানানোর পরই তাদের অনেকের শরীরেই প্রথম করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
নতুন করে ভাইরাস আক্রান্তের যেসব রোগী পাওয়া যাচ্ছে তাদের বেশীরভাগই চোংডো শহরের দেনাম নামের একটি হাসপাতালে রয়েছে। ওই হাসপাতালটিতে এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তদের অধিকাংশই শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারী।
শনিবার দেশটিতে নতুন করে ২২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সরকার শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
জানা যায়, ১৫ দিন আগে চোংডোতে শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতার ভাইয়ের শেষকৃত্যে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
তারপরই ঐ সম্প্রদায়ের ৫০০ এর বেশি অনুসারী ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নানা উপসর্গের কথা জানায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেগু, চোংডো এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা জারী করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দেগু দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। ২৫ লাখ জনসংখ্যার এই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত দুদিন ধরে রাস্তায় মানুষজন বলতে গেলে চোখেই পড়ছে না।