দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ শতাংশ বনভূমি রয়েছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ সব কথা জানান।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বনভূমি জবরদখলের বিপরীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ যাবৎ জেলা প্রশাসনে পাঠানো উচ্ছেদ প্রস্তাব ৭ হাজার ৩৭৬টি, জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ মামলা ১৩টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানি মামলা ৮৫২টি, উচ্চ আদালতে রিট মামলা ১২২টি, উচ্চ আদালতে আপিল/মিস মামলা ৮৭টি, পিওআর মামলা ৭ হাজার ৫৩২টি ও অন্যান্য ব্যবস্থায় ছয় হাজার ১৩০টি মামলা করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বন অধিদপ্তরের নিজস্ব উদ্যোগে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৪ দশমিক শূন্য সাত একর জবরদখল হওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারপূর্বক বনায়ন করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে মোট ৮ হাজার ২০০ একর জবরদখল হওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারের পর বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারের এসডিজি এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) বাস্তবায়নে বন অধিদপ্তর দেশব্যাপী বনাচ্ছাদন ও বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২০২৫ সালের মধ্যে যথাক্রমে ১৫ দশমিক দুই এবং ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে। পরিকল্পনার আওতায় শালবনের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে সাত হাজার ২২০ হেক্টর সমতলভূমি এবং এক লাখ ৩০ হাজার ৫৮০ হেক্টর পাহাড়ি অবক্ষয়িত বনভূমিতে বনায়ন; ৫০০ হেক্টর আগর বাগান; ১৫ হাজার কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃষ্টি এবং স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে অংশীদারিত্বমূলক বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪৯৮ দশমিক পাঁচ হেক্টর ব্লক ও এক হাজার ৭০১ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং নয় হাজার ৪০৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।