স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে গতবারের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পাঁচগুণ বেশি। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও বেশি। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনগণকে এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
আজ সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গতবারের তুলনায় দেশে এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। সবাইকে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারলে ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।
করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় অনেক এগিয়ে গেছে। এটাকে আমরা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশে আশি থেকে নব্বই শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের মোট টিকার দশ শতাংশ টিকা বাংলাদেশে এসেছে।
এসময় সবাইকে বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিদেশ থেকে বিনা পয়সায় করোনাভাইরাসের টিকা পাচ্ছেন বলেই কি টিকাদান কর্মসূচি চালু রেখেছেন? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে টিকার প্রয়োজন আছে বলেই এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে রোগীদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এটা আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকার কাজ করছে।