শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষা-কার্যক্রমে যেতে হলে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা এখনও সেই স্টেজের মধ্যেই আছি। গত বছর সারা দেশের ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমরা এগুলো (এ বছরের দেওয়া নতুন বই) চালনা করেছি। সেখাকার অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। কিন্তু তারপরেও এবছর আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানে (৩৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে) আমরা পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে নতুন এই বইগুলো দিয়েছি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং ‘একুশ শতকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, শিক্ষকদের কাছ থেকে, অভিভাবকদের কাছ থেকে এবং শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেব এবং সারা বছর এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করবো। কাজেই এবার ষষ্ঠ, সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো দেয়া হয়েছে সেই বইয়ে ভুল থাকতে পারে, বইগুলোতে যে বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেখানে কারো কারো অস্বস্তি থাকতে পারে, আপত্তি থাকতে পারে। আপনারা সেগুলো আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আগামী বছর সেগুলো সংশোধন করবো এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করবো।