যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে রবিবার ‘অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া স্টারমারকে সতর্ক করে এদিন তিনি বলেন, অভিবাসনবিরোধী রিফর্ম ইউকে পার্টি লেবারকেও চ্যালেঞ্জ করেছিল, শুধু কনজারভেটিভ পার্টিকে নয়।
ব্রেক্সিটের আগ্রাসী নেতা নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে পার্টি নির্বাচনে ডানপন্থী ভোটে ভাগ বসিয়ে কনজারভেটিভদের সর্বাধিক ক্ষতি করেছে। তারা সংসদে পাঁচটি আসন ও ভোটের ১৪ শতাংশ জিতেছে।
তাই পরবর্তীতে লেবার ভোটারদের দিকে দলটি নজর দেবে বলে ফারাজ সতর্ক করেছেন।
সানডে টাইমসে ‘মাই অ্যাডভাইস টু কিয়ার স্টারমার’ শিরোনামে একটি নিবন্ধে ব্লেয়ার লিখেছেন, ‘পশ্চিমাবিশ্বের সর্বত্র ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে। সিস্টেম নতুন প্রবেশকারীদের আবির্ভাবের সুযোগ দিচ্ছে, তারা সর্বত্র দাঙ্গা চালাচ্ছে। ফ্রান্স বা ইতালির দিকে তাকান।
আমাদের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের একটি পরিকল্পনা দরকার। যদি আমাদের নিয়ম না থাকে, আমরা পক্ষপাতদুষ্ট হব।’
টনি ব্লেয়ার একমাত্র লেবার নেতা, যিনি ১৯৯৭ সালে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে পর পর তিনটি নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করেছেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) শক্তি ব্যবহার সম্পর্কেও নিবন্ধে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল আইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম সমাধান সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করেন, যা নির্বাচনী প্রচারণার সময় মূল বিষয় ছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের উচিত, পৃথিবী যেভাবে ডিজিটাল আইডির দিকে এগোচ্ছে, সেভাবে এগোনো। যদি না হয়, তাহলে নতুন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণগুলো অত্যন্ত কার্যকর হতে হবে।’
এ ছাড়া ব্লেয়ারের অন্যান্য পরামর্শের মধ্যে ‘আইন ও শৃঙ্খলায় কঠোর নতুন পদ্ধতির’ উল্লেখ ছিল। কারণ ‘বর্তমানে অপরাধসংক্রান্ত উপাদানগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ে দ্রুত আধুনিক হচ্ছে’।
তবে সরকার ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রবর্তন বাতিল করেছে। ব্যবসামন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস প্রথমে বলেছিলেন, নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার এই বিষয়ে ‘সব পরামর্শের উৎস’ পরীক্ষা করবেন। কিন্তু পরে তিনি বলেন, ‘আমরা এটি বাতিল করতে পারি, এটি আমাদের পরিকল্পনার অংশ নয়।’