২০২৪ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা শিক্ষার মতো কোনো শ্রেণি বিভাজন থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এখন নতুন কারিকুলামের পাইলটিং চলবে। ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন এটি বাস্তবায়িত হবে। এটা সফল হতে পারলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করব।
বিজ্ঞাপন২০২৪ সালে এসে ৮ম, ৯ম শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়িত হবে। সে হিসেবে ২০২৪ সাল থেকে আর আর্টস, কমার্স ও সায়েন্স বিভাগ থাকছে না।
আজ শনিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন জাতীয় কারিকুলাম পাইলটিংয়ের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় মেগা প্রকল্প হবে। কাজেই আমাদের সমস্যা থাকবে না। এখন যে নতুন কারিকুলাম সেখানে জীবন-জীবিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এসব কাজ একবারে হবে না, ধাপে ধাপে হবে। আমাদের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি। তাদের অনেকে নিজেরাই ল্যাবরেটরিসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে নতুন কারিকুলাম করা হচ্ছে।
নতুন কারিকুলামের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ শিখতে পারবে। সব কিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানুষ হবে। নিজেরা চিন্তা করতে শিখবে, চিন্তার জগত প্রসারিত হবে, শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা প্রয়োগ করা শিখবে। সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে, তার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে যে গন্তব্য আমরা ঠিক করেছি সেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে গতানুগতিক যে পড়াশোনা সেটি যথেষ্ঠ ছিল না। কাজেই আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যাচ্ছি তাতে যেন সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি। আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে এবং দেশকে প্রত্যাশার সেই জায়গায় নিয়ে যাবে। সেই প্রত্যাশায় নতুন কারিকুলামের জন্য আমরা সবাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা চালু করা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একসঙ্গে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা চালু করতে বিশাল আকারের বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত বড় পরিবর্তন আনতে হবে। সমস্ত সরঞ্জাম দিতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, ল্যাবরেটরি অ্যাসিটেন্ট নিয়োগ করতে হবে। এটা একটি বড় বিনিয়োগ। শিক্ষায় আমাদের বড় বিনিয়োগ করতেই হবে। ইতিমধ্যে ৬০০ প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর দিন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলটিং শুরু হবে মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।