Monday , December 23 2024
Breaking News

নিবন্ধিত সিমের প্রায় অর্ধেক নিষ্ক্রিয়: সংসদে প্রতিমন্ত্রী পলক

মোবাইল কোম্পানিগুলোর গ্রাহকদের নিবন্ধিত সিমের প্রায় অর্ধেক নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দেওয়া তথ্যে এই চিত্র পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দেশে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার। এরমধ্যে সক্রিয় ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার।

সোমবার (২৪ জুন) সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর এর সংখ্যা- চারটি। এগুলো হলো- গ্রামীণ ফোন লিমিটড, রবি অজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। গ্রামীণ ফোনের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি, রবি’র ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি,  বাংলালিংকের ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি এবং টেলিটকের এক কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশে মোট ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার সক্রিয় সিম রয়েছে। এরমধ্যে গ্রামীণ ফোনের সক্রিয় সিম সংখ্যা- ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার, রবি’র ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার, বাংলালিংকের ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার এবং টেলিটকের ৬৫ লাখ ৫০ হাজার।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, দেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারীর ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৫০টি। সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা দ্রুত বিস্তার এবং গুণগত মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিটিআরসি হতে ন্যাশনওয়াইড, বিভাগীয়, জেলা ও থানা বা উপজেলা ভিত্তিক এই চার ধরনের আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গুণগত মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একই এলাকায় একাধিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আইএসপি অপারেটররা সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইএসপি গাইডলাইনের বিধান মোতাবেক সকল আইএসপি অপারেটরকে আইআইজি প্রতিষ্ঠান হতে ব্যান্ডউইথ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৯২২ জন। বর্তমানে ২০২৪ সারেল ১২ জুন সে সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ  বিগত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২টি।

SHARE

About bnews24

Check Also

ইন্টারনেট বন্ধে অভিযুক্ত বিটিআরসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

কোটাবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধে অভিযুক্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *