পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নানান নাটকীয়তায় গত দুইদিনেও নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষিত হয়নি। তিন দিন পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) অবশেষে পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। সেখানে কোনো দল সর্বশেষ কতটি আসন পেয়েছে সেটি জানানো হয়েছে।
সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিষদ বা দেশের সংসদের নিম্নকক্ষের জন্য ঘোষিত নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ৭৫টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি।
এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসনে জয়ী হতে হবে। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এই অবস্থায় সরকার গঠনের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
ডন ও জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৮৮, ১৮ এবং ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে শনিবার দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানের ‘স্থিতিশীল শক্তি’ দরকার এবং ‘নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। জেনারেলরা দীর্ঘসময় দেশ পরিচালনা করেছেন। সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারার পর জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির বলেছেন, নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতির পরিবর্তে দেশে স্থিতিশীল শক্তির প্রয়োজন। নিরাময়ের ছোঁয়া প্রয়োজন।