ফরিদপুরে ভাড়া বাসা থেকে স্বামী রাজীব বিশ্বাস রাজু (৩২) ও স্ত্রী সোনালী বণিক স্মৃতির (২২) লাশ উদ্ধারের পর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনালী বণিকের ভাই নিলয় বণিক বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় এ হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এদিকে রাজীব ও স্মৃতির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, স্ত্রী স্মৃতিকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন স্বামী রাজু।
সোমবার রাতে শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাট এলাকার খালেক মিয়ার বাড়ি থেকে রাজু ও স্মৃতির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্মৃতির লাশ বিছানায় এবং রাজীবের লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
সোনালী বণিক (স্মৃতি) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাটিকামারী উত্তরপাড়া গ্রামের খোকন বণিকের মেয়ে। রাজু একই জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানি ইউনিয়নের খালখোলা গ্রামের মৃত নিরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে।
স্মৃতির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে পরিবারের অমতে স্মৃতি বিয়ে করেন রাজুকে। বিয়ের পর তারা ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার খালেক মিয়ার একতলা পাকা ভবনে ভাড়া থাকতেন।
রাজুর মামা বিকাশ বিশ্বাস বলেন, রাজু ফরিদপুর শহরে টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করত। স্মৃতি ফরিদপুরের সারদা সুন্দরি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। পাশাপাশি একটি কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতা করত।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন, ময়নাতদন্তের পর দুটি লাশ দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। স্মৃতির লাশ গ্রহণ করেন তার ভাই নিলয় বণিক। রাজীবের লাশ গ্রহণ করেন তার মামা বিকাশ বিশ্বাস।
ওসি বলেন, দুজনের মৃত্যুর ধরণ দেখে মনে হচ্ছে রাগারাগির একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করায় মারা যান স্মৃতি। স্মৃতির মাথার পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্মৃতির মৃত্যুর পর রাজীব ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার গলায় দাগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত স্মৃতির ভাই নিলয় বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছেন বলে তিনি জানান।