ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। যুদ্ধবিরতি কখন থেকে কার্যকর হবে তা জানানো না হলেও যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নিতানিয়াহু।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পর বুধবার এক বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা একটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি এবং যতদিন আমাদের লক্ষ্য পূরণ না হয়, ততদিন এই যুদ্ধ চলবে।
পৃথক আরেক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সরকার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত সংস্থা সব জিম্মিদের মুক্তি, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল এবং গাজা থেকে নতুন হুমকি যাতে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
এর আগে বুধবার ভোরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক নজিরবিহীন ভোটের মাধ্যমে এ চুক্তি অনুমোদন করে দেশটির সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর হামাসকে নিশ্চিহ্নের নাম করে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।