বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে মঙ্গলবার হামলা ভাঙচুর চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সমর্থকরা। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কয়েক ডজন মিলিশিয়া যোদ্ধা নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা এ সময় আমেরিকার ধ্বংস কামনা করে স্লোগান দেন।
গত কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। উচ্চ-নিরাপত্তাসম্বলিত গ্রিন জোনের ভেতরে বেশ কয়েটি তল্লাশিচৌকি পার হয়ে মার্কিন দূতাবাসে যেতে হয়।-খবর এএফপির
সামরিক শাখার লোকজন এসব তল্লাশিচৌকি অতিক্রম করে দূতাবাসের বাইরের দেয়াল পর্যন্ত পৌঁছান। তারা দূতাবাসে ভাঙচুর চালান। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে এ সময় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
এ সময় ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী হাশেদ আল-শাবির সমর্থনে পতাকা দোলাতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি প্রতিবেশী ইরানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তারা দূতাবাসের ভেতরে পাথর নিক্ষেপ করেছেন। দেয়ালের নিরাপত্তা ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছেন। মেগাফোনে তাদের দূতাবাস ছাড়তে অনুরোধ করলেও তাতে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
জবাবে মার্কিন মেরিন প্রহরীরা প্রথমে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। পরে কাঁদানে গ্যাস এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন।
হাশেদ বলছে, এতে অন্তত ২০ জন লোক আহত হয়েছেন।
ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি বলেন, মার্কিন দূতাবাসে ঢোকা বিক্ষোভকারীদের অতিসত্বর বের হয়ে যেতে হবে।
মার্কিন বিমান হামলার জেরে কাতায়েব হিজবুল্লাহর কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহানদিস হুমকি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ওই মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে ইরাকে কিরকুকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলার জন্য দায়ী করেছে।ওই রকেট হামলায় এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত হওয়ার পরই ইরাক এবং সিরিয়ায় কাতায়েব ঘাঁটিতে ওই বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি এ বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এতে ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কর বিষয়টি ইরাক নতুন করে ভেবে দেখতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।