বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নিজ ঘর থেকে শামীমা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার (১ সেপ্টম্বর ২০২১ ) রাতে উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শামীমা খাতুন এর বাবার বাড়ি উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের গুনিয়াডাঙ্গা গ্রামে মৃত- জাহিদুল ইসলাম (মুন্টুর) মেয়ে।
গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গৃহবধূর মামা রুস্তম আলী বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় দায়ের করেন। ওই মামলায় গৃহবধূর স্বামী একরামুল হক (৩০) সহ পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে গৃহবধূর শাশুড়ি রেশমা বেগম (৪৫) ও ননদের স্বামী সেলিম হোসেন (২৬)। এদিকে ঘটনার পর থেকে শ্বশুর পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রুস্তম আলী অভিযোগ করেন, তাঁর ভাগনিকে যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়তই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছেন। এ জন্য তিনি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে একরামুল হকের দাবী তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি জানেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একরামুল হকের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর আগে শামীমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের একটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই শামীমাকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। মায়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয় তার মেয়ে। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে যান তাদের বাড়িতে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় তার মামা থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই তিন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।