Monday , December 23 2024
Breaking News

বাজারে সিন্ডিকেট আছে এ ধরনের কথা বলিনি : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাজারে সিন্ডিকেট আছে এমন কথা কখনো বলেননি দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেট আছে, ভাঙা হবে এ ধরনের কোনো কথা আমি কোথাও বলিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, মাঝেমধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? ভোক্তা অধিকারসহ নানা‌ সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু জনবল কম। এটা নিয়ে নানা সময়ে কথা বলেছি।’

বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস-বাংলা বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষ সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানোর পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

এই পর্বে যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করে বলেন, অনেক পণ্যের ব্যাপারে সিন্ডিকেট করে বাংলাদেশে ব্যবসা করে মানুষের পকেট থেকে অনেক টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কথা দায়িত্বশীল মন্ত্রীরাও বলেন। প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না বলে বাণিজ্যমন্ত্রীও বলেছেন।

বাজারে সিন্ডিকেট আছে কিন্তু আমরা হাত দিতে পারি না, বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কেন এ কথা বলেছেন, তাকে আমি ধরব।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না। যখনই পণ্যের দাম বাড়ায়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটাতো প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমিতো কিছু বলিনি। এ ব্যাপারে আমি কী বলব, উনি কী মিন করে বলেছেন সেটা আমি কী করে বলব। সেসময় কী সিচুয়েশনে বলেছেন।’

টিপু মুনশি বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম। আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও‌ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি, উনিও জিজ্ঞেস করেননি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম, প্রয়োজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ডিম আমদানি করা হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি সব সময়।

তাহলে কি বলছেন সিন্ডিকেট বলতে কোনো কিছু নেই বাজারে– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের একটি বিশাল অর্থ বিশাল ব্যাপার। আজ দেখেন সিন্ডিকেটের অল্প কিছু, ডিম নিয়ে দেখেন গ্রামে গ্রামে লাখ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। সেখানে সিন্ডিকেটের কথা বলব কেমন করে। একজন দুজন তো ডিমের ব্যবসা করছে না। এই যে বিশাল জায়গায় দাম বাড়াচ্ছে তারা। সেটা তো বুঝতে পারি। সব জায়গায় তো সিন্ডিকেটের কথা বলতে পারি না। কিন্তু সুযোগ যে তারা নেয় না তা বলি না। আমরাও চেষ্টা করি যে দামটা হওয়া উচিত, সেটার কথা চিন্তা করি।

টিপু মুনশি বলেন, ইংল্যান্ডে তিনটার বেশি টমেটো কেনা যায় না। দোকানগুলোতে তেলের যে অবস্থা এটা গ্লোবাল ক্রাইসিস। যার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এই মুহুর্তে দেখেন পেঁয়াজের ওপর ভারত ট্যাক্স দিয়ে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গ্লোবাল এই সিচুয়েশনের মধ্যে কীভাবে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়।

SHARE

About bnews24

Check Also

উদ্যোক্তা গ্রুপের সহায়তায় যশোর শীতবস্ত্র বিতরণ

উদ্যোক্তা গ্রুপের অর্থায়নে যশোর বসুন্দিয়ায় ১০০০ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরনের সময়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *