প্রবল ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ভেসে গেল গ্রিস, তুরস্ক ও বুলগেরিয়া। কিছুদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহের পর এবার শুরু হল ভয়ানক ঝড় ও বৃষ্টি।
বৃষ্টির পর উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে হঠাৎ বন্যা হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
মঙ্গলবার রাতে গ্রিস ও বুলগেরিয়ার সীমান্তে থাকা কিরক্লারেলি অঞ্চলে বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সেখানে ৫ জন মারা গেছেন এবং একজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলের পূর্বদিকে দুইটি এলাকায় বন্যায় দুইজন মারা গেছেন এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। সেখানে বন্যার পানিতে অনেক গাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে।
গভর্নরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ইস্তাম্বুলে ছয় ঘণ্টায় যত বৃষ্টি হয়েছে, তা গোটা সেপ্টেম্বরের বৃষ্টিপাতের সমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ পুরোদমে চলছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থসাহায্যও দেওয়া হবে।
বুলগেরিয়ায় কৃষ্ণসাগর উপকূলের এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ৪ জন মারা গেছেন। কয়েক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন।
বুধবার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, দুই নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের গাড়ি যখন একটি নদীর উপরের সেতু পার হচ্ছিল, তখনই তা বন্যার পানিতে ভেসে যায়। ওই দুই নারীই মারা গেছেন। এছাড়া একজন পুরুষের দেহ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬১ বছর বয়সী এক নির্মাণকর্মীও মারা গেছেন।
সোমবার থেকে সমানে বৃষ্টি ঝরছে। ফলে নদীতে পানি বেড়ে সেতু ধসে গেছে। পুরো কৃষ্ণসাগর উপকূল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন।
গ্রিসে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ থেকে ৩১ ইঞ্চি বৃষ্টির পানি বেড়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৫৫ সাল থেকে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এরকম ঘটনা এই প্রথম।
এতদিন দাবানলের কবলে পড়েছিল গ্রিস। এরপর সেখানে এরকম বৃষ্টি হলো। জলবায়ু পরিবর্তনের ফল ভালোভাবেই টের পাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলি।