প্রতিনিয়ত হাজার হাজার বাংলাদেশি যাতায়াত করেন ভারতে। বাস, ট্রেন ও বিমান যাতায়াতের জন্য এই তিনটি বাহনের মধ্যে খরচ কমানোর জন্য ট্রেন যাত্রাকেই বেশিরভাগ মানুষ বেছে নিতেন। তবে এবার আর থাকছে না সে সুযোগ। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আবারও ট্রেনগুলোর ভাড়া বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যা কার্যকর হবে আগামী ১৫ জুন থেকে।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মিহরাবুর রশিদ খাঁন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে চলাচল করে এমন তিনটি ট্রেনের ভাড়া সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০৫ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রেনের টিকিটের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
ট্রেনগুলোর মধ্যে ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ট্রেনটির এসি সিটের বর্তমান ভাড়া ৪ হাজার ৯০০ টাকা। ভাড়ার নতুন তালিকা অনুযায়ী— এসি সিটের ভাড়া হবে ৫ হাজার ১১০ টাকা। আর ১৪০ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৪০ টাকা।
খুলনা থেকে কলকাতা পর্যন্ত চলাচল করে বন্ধন এক্সপ্রেস। ট্রেনটির এসি সিটের বর্তমান ভাড়া ২ হাজার ৯৫০ টাকা। ভাড়ার নতুন তালিকা অনুযায়ী— এসি সিটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫৫ টাকায়। এসি চেয়ার কারের ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭০ টাকায়।
ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করে মিতালী এক্সপ্রেস। ট্রেনটির এসি বার্থ আসনের বর্তমান ভাড়া ৬ হাজার ৭২০ টাকা। ভাড়ার নতুন তালিকা অনুযায়ী— এসি বার্থ আসনের ভাড়া হচ্ছে ৭ হাজার ২৫ টাকা। ২৩০ টাকা বাড়িয়ে এসি সিটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫২০ টাকা এবং এসি চেয়ার কারের ভাড়া হচ্ছে ৪ হাজার ১৫ টাকা। তবে এসব ট্রেনে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতা এবং নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালী এক্সপ্রেস নামে তিনটি ট্রেন। সবশেষ গতবছর ভাড়া বাড়ানো হয় আন্তঃদেশীয় ট্রেনগুলোতে।