ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মহারাষ্ট্র সরকারকে রাজ্যে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এএনআই বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই নির্দেশের সূত্রপাত ঘটে শিবসেনার সাবেক সংসদ সদস্য রাহুল শেওয়ালের অভিযোগের পর, যেখানে তিনি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিআইএসএস) একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া শিবসেনার সংসদ সদস্য মিলিন্দ দেওরা মঙ্গলবার রাজ্যের সরকারকে আহ্বান জানান, মহারাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্য, যাতে ‘মুম্বাইকে আরো নিরাপদ’ করা যায়।
এএনআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেওরা বলেন, ‘আমি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছি এবং আহ্বান জানিয়েছি, যেখানেই অবৈধ বাংলাদেশি বাস করছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব বহিষ্কার করা উচিত। সাইফ আলী খানের বাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুম্বাইকে আরো নিরাপদ করতে রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি নিরীক্ষা প্রয়োজন।
পাশাপাশি যেসব সংস্থা যাচাই-বাছাই না করেই চাকরিতে নিয়োগ দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
গত সপ্তাহে অভিনেতা সাইফ আলি খান তার বাড়িতে এক চোরের ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে ওই চোরকে বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ হিসেবে শনাক্ত করা হয়, যিনি চুরির উদ্দেশে বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন বলে অভিযোগ। আঘাত পাওয়ার পর সাইফ আলি খানকে দ্রুত মুম্বাইয়ের লিলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসার পর মঙ্গলবার তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন।
এদিকে মুম্বাইয়ের প্রধান বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) অষ্টম আদালত তিন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে অবৈধ প্রবেশ ও জাল নথি ব্যবহার করে বসবাসের অভিযোগে কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেছেন। অতিরিক্ত সিজেএম কাঞ্চন জানওয়ার মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেন।