ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ২৯৫ প্যাকেজে ৬১ হাজার ৯৫০ পিসি ডিম এসেছে বাংলাদেশে। ঢাকার বিডিএস করপোরেশন নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ ডিম আমদানি করে।
আমদানি করা প্রতি পিস ডিম ভারতীয় বাজার থেকে ক্রয় করা হয়েছে বাংলাদেশি ৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে। কাস্টমসের শুল্ক পরিশোধ ও ডিম পরিবহন খরচ দিয়ে বেনাপোল পর্যন্ত প্রতি পিস ডিমের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৫৭ পয়সা।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে এভাবে ডিম আমদানি করা হলে ডিমের বাজারে যে ঊর্ধ্বগতি তা কমে আসবে।
জানা গেছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে ডিম আমদানির কথা জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সে অনুযায়ী প্রথম ধাপে ভারত থেকে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। পরবর্তীতে আরও ৬ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়ে মোট ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ১ম চালানে রোববার ঢাকার রামপুরার বিডিএস করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স কানুপ নামের অপর একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করে।
সন্ধ্যায় ডিম বোঝাই ১টি ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। আমদানি করা প্রতি পিস ডিম ভারতীয় বাজার থেকে ক্রয় করা হয়েছে বাংলাদেশি ৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে। কাস্টমসের শুল্ক পরিশোধ ও ডিম পরিবহন খরচ দিয়ে প্রতি পিস ডিমের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৫৭ পয়সা। দেশের দশটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
অনুমোদিত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপলাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড, চিস গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জুনুর ট্রেডার্স।
বেনাপোল দিয়ে আমদানি করা ডিমগুলো খাওয়ার উপযোগী কিনা তা জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল কালবেলাকে জানান, আজ প্রথম ভারত থেকে বাংলাদেশে ২৯৫ প্যাকেজে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ডিমগুলো সরেজমিনে পরিবীক্ষণ করে খাওয়ার উপযোগী মনে করে ছাড়পত্র দিয়েছি আমরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক, সুলতান মাহমুদ বিপুল বলেন, ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিরশনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ডিম আমদানির যে অনুমতি দিয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। আমি মনে করছি, এভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ অল্পমূল্যে ডিম ক্রয় করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আব্দুল হাকিম কালবেলার এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিমের ট্রাক প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড় প্রদান করেছেন। আমরা এসব পণ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্দর থেকে ছেড়ে দিচ্ছি।