সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ এ দাঁড়িয়েছে। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশে নূরদাগি শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। এ ঘটনায় আহত প্রায় কয়েক শতাধিক। আর শতাধিক ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএসজিএস’র তথ্যানুযায়ী, স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আশপাশের অঞ্চল। ভূমিকম্পটি এতই প্রবল ছিল যে ৭০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী আঙ্কারাতেও এটি অনুভূত হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন দেশটির অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। আর ভূমিকম্পের তীব্রতা এতোই বেশি ছিল যে এটি সাইপ্রাস দ্বীপেও অনুভূত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ৭৬ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তবে ক্রমেই বাড়তে এ সংখ্যা।
কর্মকর্তারা বলছেন, তুরস্কের মালতায়া প্রদেশে কমপক্ষে ২৩ জন, সানলিউরফায় ১৭ জন, দিয়ারবাকিরে ৬ জন, ওসমানিয়াতে আরও ৫ জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলছে, সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। উদ্ধারকারীরা আহতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন।
এদিকে বহু ভবন ধ্বসে কয়েক হাজারের বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠের ২৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল। প্রথম কম্পনের প্রায় ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার।