সবাই যেন সার্বিক যত্ন নিয়ে মেট্রোরেল ব্যবহার করেন সে জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এটি নতুন বছর ২০২৩ সালের প্রথম এবং বর্তমান সরকারের ১০৮তম মন্ত্রিসভা বৈঠক।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আপনারা জানেন গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে মানুষের বিপুল আগ্রহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা যেন এটা প্রচার করি ব্যবহারে সচেতন হতে। সার্বিক যত্ন নিয়ে যেন আমরা ব্যবহার করি, সে বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার পর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে নামফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে উত্তরা পৌঁছান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করে মেট্রোরেল। সীমিত পরিসরে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে।
বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করার পর মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর ফানুস এসে পড়ায় ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
সীমিত পরিসরে চলাচলের মাধ্যমে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে মেট্রোরেল থেকে ৮৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে। আর যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ৯০ হাজার।