বিতর্কিত ও ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন বাতিল দাবিতে চলমান বিক্ষোভে রেলের ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে জানিয়ে তা বিক্ষোভকারীদের থেকেই আদায়ের হুমকি দিয়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব বলেছেন, ‘ট্রেনের কামরা পোড়ানো হয়েছে। সিগন্যাল ট্র্যাক উপড়ে ফেলা হয়েছে। এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়া হবে। আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।’
এমন ঘোষণার মধ্য দিয়ে উত্তরপ্রদেশের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী অদিত্যনাথের পথেই হাঁটল ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য জেলার ২৮ জনকে চিহ্নিত করেছিল যোগীর উত্তরপ্রদেশের জেলা প্রশাসন। নোটিস দিয়ে ওই ২৮ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিল যোগীর সরকার।
তারপরই চাপের মুখে ভাঙচুরের জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছে মুসলিমরা। যোগী সরকারের হাতে বুলন্দ শহরের মুসলিম সম্প্রদায় ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
চলমান বিক্ষোভে চলতি মাসে মুর্শিদাবাদে পাঁচটি খালি ট্রেনের কামরা জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। সুজনিপাড়া ও মালদার একাধিক স্টেশনেও ভাঙচুর হয়েছে। এছাড়া আসামেও রেলের সম্পত্তি নষ্ট করেছে বিক্ষোভকারীরা।
গত সপ্তাহে সহিংস বিক্ষোভে যোগী রাজ্যে পুলিশের গুলিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়। তবে সরকারে পক্ষ থেকে বিজনৌরে ২০ বছরের এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেনি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বলছে, ৪৯৮ জন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে শুরু মিরাটেই আছে ১৪৮ জন। এদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হবে।
এর আগে রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, রামপুরসহ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে।