আর মাত্র পাঁচদিন পরেই পবিত্র রমজান মাস শুরু। এরইমধ্যে বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে রমজানকেন্দ্রিক পণ্য খেজুর ও বেগুনের। তবে বাজারে দাম কমেছে বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্ধ্বগতিতে থাকা পেঁয়াজ ও মুরগির।
আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার, মিরপুর-২ নম্বর বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে পর্যাপ্ত বেগুনের সরবরাহ থাকলেও হঠাৎ বেড়েছে বেগুনের দাম। বাজারে প্রতি কেজি বেগুনে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। গেলো সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে অন্যান্য সবজির দাম আগের মতই স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে দাম বেড়েছে খেজুরের। কিছুদিন আগেও তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়া থেকে আসা খেজুর বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। একই দেশ থেকে আসা দাবাস খেজুরও ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা নাগাল খেজুরসহ বিভিন্ন মানের আম্বার, আজোয়া, মরিয়ম খেজুরও আগের চেয়ে দাম বেড়ে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে
অন্যদিকে বাজারে কমেছে বেশ কিছুদিন ধরে চড়া থাকা মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা এবং ২০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। এ নিয়ে দুই সপ্তাহে কমেছে ৫০ টাকার মতো। তবে আগের মতোই ডিম পাড়া লাল ও সাদা লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় এবং দেশি মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। মাংসের মধ্যে গরু ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা এবং বকরি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য বছর রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়লেও এবার উল্টো কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর খুচরায় ৩ থেকে ৪ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর পাল্লা পাইকারিতে ৯০ থেকে ৯৫ এবং খুচরায় ২০ থেকে ২২ টাকা। এছাড়া বাজারে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম আগের মতই স্থিতিশীল আছে।
বেগুনের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলা নূর বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় বেগুনের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে বেগুনের দাম কিছুটা বেড়ছে। তবে কয়েকদিন পর বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ এলে দাম কমবে বলেও জানান তিনি।
কারওয়ান বাজারের খুচরা খেজুর বিক্রেতা টুটুল বলেন, আড়তেই খেজুরের দাম বেড়েছে। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়তে দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারবো।
কাঁঠালবাগান থেকে কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা মামুন অর রশিদ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান এলে পণ্যের দাম কমে। আর আমাদের দেশের অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ওত পেতে থাকে কীভাবে বেশি লাভ করা যায়। সরকারের উচিত কঠোরভাবে মনিটরিং করে বাজারে সব রকম পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।