চলমান করোনার সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৮ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষাকার্যক্রম। এ সময় বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের পরিবহন সেবা ও আবাসিক হলসমূহ। এতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবহন ও আবাসিক ফি মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছে।
অবশেষে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথায় এখন সায় দিচ্ছে। বলছে, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক ও অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকেই পরিবহন বাবদ প্রতি বছরে ৩৬০ টাকা করে ফি দিতে হয়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ফি বাবদ বছরে ১২০০ থেকে ১৩৮০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে করোনার বিবেচনায় হলের ভাড়া ও পরিবহণসহ অন্যান্য ফি মওকুফ করার দাবি জানিয়ে আসছে প্রশাসনের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. আরিফুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ফি মওকুফের বিষয়টি নিয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদে আলোচনা চলছে। আমরা শীঘ্রই এবিষয়টি উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবো।
পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মোকছিদুল হক জানান, ফি মওকুফের বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ও পরিবহন ফি মওকুফ করতে আমাদেরকে অর্থ কমিটির (এফসি) সঙ্গে এবং সিন্ডিকেট সভা করতে হয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। যেহেতু তারা হলের সুযোগ-সুবিধা ও পরিবহন সেবা পায়নি, তাদের কাছ থেকে এই অর্থ গ্রহণ করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে হল ও পরিবহণ বাবদ ফি মওকুফের উদ্যোগ নিয়েছি। হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও পরিবহন দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা হল ও পরিবহন ফি দিয়েছে সেটি তাদের ফেরত দেয়া হবে নাকি সমন্বয় করা হবে, অথবা সর্বোচ্চ কত পরিমাণ ফি মওকুফ করা যায়- এরকম একটি প্রস্তাবনা দিতে বলেছি হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও পরিবহন দফতরের প্রশাসককে।