গত সপ্তাহে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মার্কিন জেনারেলরা বিরল এক ফোনালাপে অংশ নিয়েছেন। ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই সংলাপ হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বিলুপ্তপ্রায়।
কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে তাদের সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘর্ষে সরাসরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা করে।
রাশিয়ার চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ ও যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউনের মধ্যে ২৭ নভেম্বর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, এই ফোনালাপের উদ্যোগ নেয় রাশিয়া।এটি তাদের মধ্যে প্রথম ফোনালাপ ছিল বলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম বিবৃতি অনুসারে, গেরাসিমভ ব্রাউনকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার সামরিক মহড়ার বিষয়ে অবহিত করেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই তথ্য প্রদান করা হয় সম্ভাব্য যেকোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য। কারণ রুশ মহড়ার এলাকা সংলগ্ন অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জাহাজ উপস্থিত রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস এক মার্কিন সামরিক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই আলোচনায় ইউক্রেন সংঘাত ও রাশিয়ার নতুন ওরেশনিক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাউন রাশিয়ার পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে। বিদায়ী জো বাইডেন প্রশাসন কিয়েভকে মার্কিন সরবরাহকৃত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে নিক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সীমা আরো কমিয়েছে।
পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে কিয়েভ রুশ সীমান্ত অঞ্চলে হামলা চালানোর জবাবে রাশিয়া প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে নিক্ষেপ করে ‘পরীক্ষা চালানোর’ ঘোষণা দেয়।