গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে একের পর এক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার এসব বাস্তুচ্যুত লোকদের মাঝে ব্যাপকহারে রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ)। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজায় রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপত্যাকার দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপত্যাকার এক লাখ ৮০ হাজার মানুষের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এক লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সেখানকার অন্তত ৫৫ হাজার ৪০০ লোকের মাঝে উকুন ও চুলকানির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপত্যাকার পাঁচ হাজর ৩৩০ জন চিকেন পক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
ওসিএইচএর তথ্যমতে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ২৩টি হাসপাতাল আংশিক চালু অবস্থায় রয়েছে। এসব হাসপাতালে ৯টিই দক্ষিণে অবস্থিত।
সংস্থাটি জানায়, উত্তরাঞ্চলে চালু থাকা হাসপাতালের মধ্যে চারটি আংশিক চলমান রয়েছে। এগুলোতে কেবল মাতৃত্বকালীন, ট্রমা ও জরুরি সেবা চালু আছে। এগুলো পরিচালনা করতেও সার্জন, মেডিকেল স্টাফসহ বিভিন্ন সংকটের মুখে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গাজার অন্তত ২১ হাজার লোক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজার হামলায় ইসরায়েলের ১২০০ লোক নিহত হয়েছেন।