সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করে অন্য সেনা কর্মকর্তাকে ওই দায়িত্ব দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। একইসঙ্গে তিনি অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি, সামরিক মহড়া সম্প্রসারণ এবং সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এসব তথ্য দিয়েছে।
দেশটির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের বৈঠকে বসেছিলেন কিম। সেখানেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি। ওই বৈঠকে কিম জানান যে, উত্তর কোরিয়ার শত্রুদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশের বিভিন্ন শত্রুর কথা বললেও তাদের নাম উল্লেখ করেননি।
তিনি সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। একইসাথে অস্ত্রের উৎপাদন ও সামরিক মহড়ায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এরপরেই কিম জং উন তার দেশের ‘চিফ অফ জেনারেল স্টাফ’ পাক সু ইলকে বরখাস্ত করেন। তার জায়গায় ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রি ইয়ং গিলকে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে রি আর দায়িত্ব সামলাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কী কারণে পাক সু ইলকে বরখাস্ত করা হলো, তা জানা যায়নি।
সেনাবাহিনীর প্রধানকে সরানোর পাশাপাশি, অস্ত্র তৈরিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। গত সপ্তাহেই অস্ত্র তৈরির কারখানায় গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার এ শাসক। অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ অস্ত্র তৈরিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কিম, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আবার সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে, রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যদিও রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সেই দাবি অস্বীকার করেছে।