মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭২তম স্থান লাভ করে উত্তীর্ণ হয়েছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হতদরিদ্র রিকশাচালক মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে পান্না।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে উত্তির্ণ হয়েও পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে পান্না ভর্তি হতে পারছেন না।
অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হতে না পারা পান্নার কান্না থামাতে আছেন কি কেউ?
পান্না চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের মুন্সীবাড়ির মেধাবী ছাত্রী। তার বাবা মো. দুলাল মিয়া। মা কোহিনূর বেগম। তিনি রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী। তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা রিকশাচালক, মা- গৃহিণী।
চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭২তম স্থান লাভ করেন পান্না। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
কিন্তু তাকে ভর্তি করানোর বা লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার ন্যূনতম সামর্থ্য নেই পরিবারের।
স্থানীয়রা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের বিবেকবানদের কাছে একটি মেধাকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
এদিকে পান্না ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের খবরের পর রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে একটি ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
পান্না যুগান্তরকে বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনার সবটুকু ব্যয়ভার বহন করেছে প্রাণপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। কোচিং চলাকালীন পুরো সময় ছিলাম (কুমিল্লায়) ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক বেলাল আর মেডাম বিলকিসের বাসায় তাদের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে।