রাজবাড়ীতে রুপল ওরফে শাহিন শেখ (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের স্বজনরা। এসময় মিছিল থেকে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হোসেনের ওপর হামলা হয়। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান।
রোববার (১৮ মে) বিকেলে রাজবাড়ী সদরের বসন্তপুরের রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত এসআইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, রাজাপুর গ্রামের রুপলকে গত মঙ্গলবার একই গ্রামের শামসুদ্দিন ওরফে শাম বিশ্বাসের বাড়ির মোটর চুরি ও মোবাইলে গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে মারধোর করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে রুপলকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাম বিশ্বাসের বাড়ি আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শনিবার সকালে এ ঘটনায় নিহতের মামা মো. কালাম মোল্লা ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এজাহারনামীয় চারজনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার পর রোববার বিকেলে ‘সর্বস্তরের জনগণে’র ব্যানারে অভিযুক্ত শাম বিশ্বাস, মুক্তার বিশ্বাস, রাফিজুল বিশ্বাস, রিপন বিশ্বাস ওরেফ কচি, সৌরভ বিশ্বাস, রাসেল বিশ্বাস, অন্তর বিশ্বাসের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রুপলকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপদ চারজনকে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। অথচ মূল অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এরপর মানববন্ধন শেষে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন নিহতের স্বজনরা।
মিছিলটি অভিযুক্ত শাম বিশ্বাসের বাড়ির সামনে গেলে সাদা পোশাকে থাকা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার এসআই সাব্বির হোসেনের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায় বিক্ষোভকারীরা তার ওপর হামলা চালায়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, আহত এসআই সাব্বিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে রুপল হত্যা মামলায় রাজাপুর গ্রামের রুকমান বিশ্বাসের ছেলে মো. জহিরুদ্দিন বিশ্বাস (৬৫), মৃত ফেলু বিশ্বাসের ছেলে মো. মৈজদ্দি বিশ্বাস (৫৫), ফরহাদ বিশ্বাস (৪৫), খালেক মোল্লার ছেলে মো. মুন্নু মোল্লাকে (৫০) গ্রেফতার করে পুলিশ।