ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার লেবাবন সীমান্ত থেকে ১৪টি সম্প্রদায়ের মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। হিজবুল্লাহর ক্রমাগত রকেট ও মিসাইল হামলার কবলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় খরচে চালিত গেস্টহাউজে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের।
লেবাননের সঙ্গে দুই কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে থাকা ২৮টি সম্প্রদায়ের মানুষকে গত সপ্তাহে এনইএমএ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এ তালিকায় কিরয়াত সোমা শহরও রয়েছে।
আইডিএফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সরিয়ে নেওয়া ১৪টি সম্প্রদায় হলো- স্নির, দান, বিইত হিল্লেল, শেয়ার ইয়াশুভ, হাগশ্রিম, লিমান, মাতজুভা, এইলন, গোরেন, গরনত হাগালিল, ইভেন মেনাচেম, সাসা, জিভন এবং রামত নাফতালি।
এদিকে শনিবারের এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র গতকাল রাতে গাজায় হামলা বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপরই সেখানে হামলা জোরদার করে তারা। গতকাল রাতে ৫৫ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি এসব হামলায় ৩০টির বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামসের হামলার জবাবে গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।