ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানগুলোতে বৃহস্পতিবার দুই শতাধিক রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ হামলা চালিয়েছে তারা।
এদিকে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মাধ্যমে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল তার উত্তর সীমান্ত এলাকায় কোনো মৃত্যুর খবর দেয়নি।
গাজায় প্রায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ায় সেখান থেকে অনেক আগেই অধিকাংশ সম্প্রদায়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এদিন সকালে উত্তর ইসরায়েলজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। হিজবুল্লাহর এই বড় হামলার পর দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দমকলকর্মীরা গ্যালিলি ও গোলান হাইটসের অন্তত ১০টি স্থানে বড় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
গোলান হাইটসের অন্তত একটি মহাসড়ক আগুনের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে হিজবুল্লাহর অধিকাংশ রকেট আটকানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার ইসরায়েল লেবাননের উপকূলীয় শহর টায়ারের কাছে হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসেরকে হত্যা করে।
হিজবুল্লাহর ফিলিস্তিনি মিত্র হামাস ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে গাজায় যুদ্ধ চলছে।
একই সঙ্গে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন জানিয়ে তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বুধবার পূর্ণাঙ্গ সংঘাত শুরু হলে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেন।
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সীমান্ত সংঘর্ষে লেবাননে কমপক্ষে ৪৯৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই যোদ্ধা। কিন্তু ৯৫ জন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অন্তত ১৫ সেনা ও ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।