খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় ২৬ বছর পর তারেক নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি তারেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এ হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তরিকুল হুদা টপি, আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ওসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান ও মিল্টন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এড. আরিফ মাহমুদ লিটন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুর পৌনে ২ টার দিকে শেখ আবুল কাশেম তার ব্যক্তিগত গাড়ি, (যার নং ০৩-৪৩৭৩) করে নগরীর স্যার ইকবাল রোডের পিকচার প্যালেস মোড় বেসিক ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে যান।
সাক্ষাৎ শেষে বাড়ির উদ্দেশে পুনরায় গাড়িতে উঠে বসেন। এ সময় ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রথমে তার ড্রাইভার মিকাইল হোসেনকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে কাটা রাইফেল দিয়ে শেখ আবুল কাশেমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিকচার প্যালেস মোড় দিকে বীরদর্পে হেটে যায়।
ওই ঘটনার পর নিহতের পরিবারের লোকজন এসে তাকে গরিব নেওয়াজ ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেশ কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের জামাই মো. আলমঙ্গীর হোসেন খুলনা থানায় মামলা করেন, যার নং ৩৫।
মামলাটি প্রথমে খুলনা থানায় করা হলেও পরে এটি তদন্ত করে সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় ১০ জনকে আসামি করে ১৯৯৬ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার বিচারাধীন সময়ে দুজন আসামির মৃত্যু হয়। তারা হলেন- সৈয়দ মনিরুল ইসলাম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ডেপুটি মেয়র ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু। তিনিও সন্ত্রাসীর গুলিতে বানরগাতি এলাকায় নিহত হন।
১৯৭০ সালে শেখ আবুল কাশেমের বড় ভাই শেখ আবুল খায়ের দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।